স্বদেশ ডেস্ক:
কুমিল্লায় কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলসহ জোড়া খুনের মামলার প্রধান আসামি শাহ আলম পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত দেড়টায় চাঁনপুর রত্নাবতী গোমতি বেড়িবাঁধে এ ঘটনা ঘটে। শাহ আলম সুজানগর বউ বাজার এলাকার মৃত জানু মিয়ার ছেলে।
কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল আজিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, কয়েকজন অস্ত্রধারী গোমতী বেড়িবাঁধে অবস্থান করছে- এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলা পুলিশ ও ডিবি পুলিশের একটি দল অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। দুই পক্ষের গোলাগুলিতে একজন সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়, যাকে স্থানীয়রা শাহ আলম বলে শনাক্ত করে।
পরে গুলিবিদ্ধ শাহ আলমকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, গুলি ও গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
এর আগে গত সোমবার গভীর রাতে নগরীর সংরাইশ এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে কাউন্সিলর সোহেল হত্যা মামলার এজাহারে থাকা ৩ নম্বর আসামি মো. সাব্বির হোসেন (২৮) ও ৫ নম্বর আসামি মো. সাজন (৩২) নিহত হয়।
উল্লেখ্য, নগরীর সুজানগরে নিজ কার্যালয়ে গত ২২ নভেম্বর বিকেলে কাউন্সিলর সোহেলসহ গুলিবিদ্ধ হন অন্তত ছয়জন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোহেল ও তার সঙ্গী হরিপদ সাহার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় কাউন্সিলরের ভাই বাদী হয়ে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী শাহ আলমকে প্রধান করে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জনের নামে মামলা করেন।